গুজরাটের রাসায়নিক কারখানায় বয়লার ফেটে মৃত‍্যু বাঁকুড়ার শ্রমিকের , আসছে মৃতদেহ গ্ৰামে

6th June 2020 বাঁকুড়া
গুজরাটের রাসায়নিক কারখানায় বয়লার ফেটে মৃত‍্যু বাঁকুড়ার শ্রমিকের , আসছে মৃতদেহ গ্ৰামে


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : জেলার রানিবাঁধের সিন্দুরপুর গ্রাম থেকে গুজরাটের ভারুচ জেলার দাহেজ শিল্পাঞ্চলে যশস্বী রসায়ন প্রাইভেট লিমিটেডে পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে  কাজে গিয়ে ছিলেন পাঁচ যুবক।  বুধবার  ৩জুন দুপুর বারোটা নাগাদ ঐ ক্যামিক্যাল প্লান্টের বয়লার ফেটে সিন্দুরপুর গ্রামের জয়ন্ত মাহাত (২৪) নামে এক যুবকের মৃত্যু  হয়।  ঐ ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন ওই গ্রামের আরও তিনজন যুবক। সেখানে তাঁরা একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন রয়েছে। গুজরাট থেকে জয়ন্তর মরদেহ আনা হচ্ছে রানিবাঁধের গ্রামে। আজ বিকেল নাগাদ তার মরদেহ এসে পৌঁছবে সিন্দুরপুর গ্রামে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকার বিধায়ক জ্যোৎস্না মান্ডি গ্রামের ওই পরিবারগুলোর সঙ্গে কথা বলতে আসেন। আহত এক পরিযায়ী শ্রমিকের  বাবা বলেন এই জঙ্গলমহলে কাজকর্ম সেভাবে হয় না তাই সংসার চালাতে তাদেরকে যেতে হয় ভিন রাজ্যে,  যদি  জেলাতে  কল কারখানা  গড়ে উঠত  তাহলে তাদের  অন্য রাজ্যে যেতে হতো না। একদিকে করোনা পরিস্থিতি দেশজুড়ে চলছে লকডাউন।  আরেক গ্রামবাসী মধুসূদন মাহাতো বলেন রাজ্য সরকার কল কারখানাগুলি না হতে দেওয়ার কারণেই এখানে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলোকে কাজ করতে যেতে হয় ভিন রাজ্যে । ৩০% লোক নিয়ে কারখানাগুলি খোলার অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার যে কাজ ১০০ জনে করা সম্ভব, সেই কাজ ৩০ জনের করলে এরকম দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে এটা স্বাভাবিক। কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত ছিল কারখানাগুলোকে বন্ধ করে দেওয়া অথবা পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়িয়েছি ফিরিয়ে আনা উচিত ছিল। বিধায়ক জ্যোৎস্না মান্ডি বলেন খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। তিনি দোষারোপ করেন বিজেপি শাসিত রাজ্য গুজরাট কে। আমাদের রাজ্য সরকার ও মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমস্ত কলকারখানা, স্কুল-কলেজ, যেমন বন্ধ রেখেছে তেমন পরিযায়ী শ্রমিকদের কেউ আনার জন্য তৎপর হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার গাফিলতির জন্য এই দুর্ঘটনা বলে তিনি দাবি করেন যদি কেন্দ্রীয় সরকার লকডাউন ঘোষণার আগে পরিযায়ী শ্রমিকদেরকে বাড়ি ফেরার সময় দিত তাহলে এই দুর্ঘটনা ঘটতো না।  এদিন পরিবারের লোকদের সঙ্গে কথা বলে তিনি বলেন পাশে আছেন পাশে থাকবেন রাজ্য সরকার সাহায্য করবেন।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।